আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড
বরার ফাহাদ (জন্মঃ ১৩ মে ১৯৯৮ - মৃত্যুঃ ৭ অক্টোবর ২০১৯) ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।[১] ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ভোঁতা জিনিসের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।[২] আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২২ বছর বয়সী ছাত্রকে তার সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আক্রমণ করা হয়েছিল, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা বলে মনে হয়েছিল।[৩]
পরিচ্ছেদসমূহ
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
আবরার ফাহাদ ১৩ ই মে, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার পিতার নাম মোঃ বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি নটরডেম কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ৩১ মার্চ ২০১৮ এ, তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বুয়েট) পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।
কুষ্টিয়ায় আবরারের বাড়ি আ’লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির পাশের দরজা ছিল।[৪] তার বাবা বরকতউল্লাহ ব্র্যাকে অডিটর এবং মা রোকেয়া খাতুন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ছিলেন। আবরার দুই ভাইয়ের বড় ছিল, তার ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এইচএসসি ছাত্র ছিল। ফায়াজ শের-ই-বাংলা হলের নিকটবর্তী ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে থাকতেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নিহত হয়েছেন। তিনি একই হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আবরার ১০ দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল এবং ২০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিল। যাইহোক, যখন তার পরীক্ষাগুলি কাছাকাছি চলে আসছিল, তিনি পড়াশোনা করতে হলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে আবরারকে মারার নির্দেশনা দেন। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা তাকে বাড়ি থেকে ফেরার অপেক্ষা করতে বলেন। ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। বুয়েট ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর মোবাইল ফোন দুইটি চেক করেন। একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির আল জেমি ল্যাপটপটি চেক করেন। এসময় মেহেদী হাসান রবিন চড় মারতে থাকেন আবরারকে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামসুল আরেফিন রাফাত স্টাম্প এনে দিলে তা দিয়ে ইফতি মোশাররফ সকাল চার-পাঁচটি আঘাত করলে স্টাম্পটি ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অনিক সরকার, আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে মারতে থাকেন। এরপর ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন আবরারকে চড় এবং স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করেন। এসময় মেহেদী হাসান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন মেহেদি হাসান রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারধরের ফলে অসুস্থ আবরার মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। ইফতি মোশাররফ সকাল ধমক দিয়ে তাকে দাড় করিয়ে চড় দেন। পরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদুর রহমান স্কিপিং রোপ দিয়ে আবরারকে মারতে থাকেন। এরপর ইফতি মোশাররফ সকাল স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু ও পায়ে মারেন। খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর চড়-থাপ্পড় মারেন আবরারকে। রাত ১১টার দিকে অনিক সরকার গায়ের সব শক্তি প্রয়োগ করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্টাম্প দিয়ে আবরারকে আঘাত করেন। এরপর ১২ টার দিকে সবাই কক্ষটি থেকে বের হয়ে যান।
আবরারের শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ইফতি মোশাররফ সকাল তার মাথার নিচে দুইটি বালিশ দেন। বেশ কয়েকবার বমি করে আবরার। আবরারকে এরপর ২০০৫ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা সবকিছু জানার চেষ্টা করেন, তাকে মেরে আরও তথ্য বেড় করার কথা বলেন। তিনি আবরারের অবস্থা খারাপ জেনে তাকে হল থেকে বেড় করতে বলেন। মেহেদী হাসান ও অনিক সরকার ২০০৫ নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখে তার অবস্থা ঠিক আছে বলে চলে যান। এরপর আবরার আবার বমি করেন। মেহেদী হাসান তাকে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার কথা বলছিলেন। ১৭ ব্যাচের ছেলেরা তখন তাকে তোশকসহ নিচতলায় নামিয়ে রাখেন। সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল তখন পুলিশের সাথে কথা বলছিলেন। মুনতাসির আল জেমি আবরারের অবস্থা খারাপ জানালে ইফতি মোশাররফ সকাল মালিশ করতে বলেন। ইসমাইল ও মনির অ্যাম্বুলেন্সে ফোন দিলে তা আসতে দেরি হওয়ায় তামিম বুয়েট মেডিকেলের চিকিৎসককে নিয়ে আসেন।[৫] বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শের-ই-বাংলা হলের নিচতলায় সোমবার ভোর তিনটায় পুলিশ আবরারের লাশ উদ্ধার করে। মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মাশুক এলাহী রাত ৩ টার দিকে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।[৬] আবাসিক হলের দ্বিতীয় তলায় ইনস্টল করা একটি ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা ধারণ করা ফুটেজে দেখা গেছে যে কয়েকজন লোক তার হাত ও পায়ে করিডরে নিচে টেনে নিচ্ছেন।
ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরাতে দেখা যায় রাত ৩টা বেজে ২৬ মিনিটে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান লাশ এর সামনে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের সাথে আলোচনা করে চলে যান। পরের দিন তিনি দাবী করেন যে এই বিষয়ে সকাল হবার আগে তিনি কিছুই জানতেন না।
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। তাই মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে সহপাঠীদের কেউ ফোন দিতে পারছিলেন না। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে পড়াতেন দিগন্ত নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফাইয়াজকে ফোন দেওয়া হয়। ফাইয়াজ কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে। এভাবে তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে।
আবরার হত্যার পর শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কেউ কাউকে খবর দিতে পারছিলেন না। ভয়ের কারণ, যদি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেখে ফেলে। এজন্য ১৭তম ব্যাচের কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি মেসেজ লেখেন। একই সময় সেই টেক্সটটি বুয়েটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সব ক’টি পেজ ও গ্রুপে তারা পোস্ট করেন। এরপর সবাই ধীরে ধীরে ঘটনাটি জানতে পারেন।[৭]আবরার যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন তাকে প্রথমে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চান ছাত্রলীগের এসব নেতা। এজন্য ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা চকবাজার থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে খবর দিয়ে বলেন, ‘এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ খবর পেয়ে চকবাজার থানা থেকে টহল পুলিশের একটি দলকে শেরেবাংলা হলে পাঠানো হয়। এই হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারা শিবিরকর্মী কোথায় জানতে চান। তবে ছাত্রলীগ তাদের পরে আর হলে ঢুকতে দেয়নি।’
এই হত্যার সাথে ২২ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়িত। হত্যার পরে মেহেদি হাসান রাসেল ও অনিক সরকারসহ খুনীরা লাশ গুম ও ফাহাদকে মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করতে থাকেন। [৮][৯][১০][১১] চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে শিবির ধরা হয়েছে বলে ফোন দেওয়া হয়। তবে আমাদের টহল পুলিশকে তারা হলে ঢুকতে দেয়নি।’[৭]
ফেসবুক সম্পৃক্ততা
আবরারের সহপাঠীরা বলেছিলেন যে তিনি সম্ভবত ফেসবুকে লেখার জন্যই মারা গিয়েছিলেন।[১২] ফেসবুক স্ট্যাটাসে, নিহত আবরার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের সরকারি সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক দলিল স্বাক্ষরের সমালোচনা করেছিলেন।
তার ফেসবুক পোস্টে ভারতকে মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করার বিষয়গুলি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন।[১৩]
স্ট্যাটাসটি হচ্ছে:
| “ |
১.৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২.কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩.কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
"পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।"
| ” |
পরবর্তী ঘটনা[সম্পাদনা]
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।[১৪] আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৩ ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪ ব্যাচ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অনীক সরকার (১৫ ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল বিভাগ, ১৫ ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬ ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫ ব্যাজ, মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (এমই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), তানীম (সিই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭ ব্যাচ), মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ)।[১৫]
হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের দশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়।[১৬] এরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাতুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন।[১৭] পরবর্তীতে আরও ৩ জন - মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, শামসুল আরেফিনকে ডেমরা, গাজীপুর বাইপাস, ঢাকা জিগাতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১৮]
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ[সম্পাদনা]
সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। তার মৃত্যু বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।[১৯] বুয়েটে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিপূরণের লক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে দাবি জানাচ্ছে। দাবিগুলো হলো:
- খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে শনাক্তকৃত খুনিদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিতভাবে খুনি শনাক্তকরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্তকৃত খুনিদের সকলের আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।
- মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। এ মর্মে অফিসিয়াল নোটিশ ১১ তারিখ ৫টার মধ্যে প্রদান করতে হবে।
- দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বুয়েট প্রশাসনকে সক্রিয় থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ছাত্রদের আপডেট করতে হবে।
- অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।
- বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটে হলে হলে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে রাখা হয়েছে। জুনিয়র মোস্ট ব্যাচকে সবসময় ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক জোর করে রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে যুক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেকোনো সময় যেকোনো হল থেকে সাধারণ ছাত্রদের জোরপূর্বক হল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে হলে হলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনের এহেন কর্মকাণ্ডে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাই আগামী ৭ দিনের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং পরবর্তীতে ৩৮ ঘণ্টা পরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন, এজন্য তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ দুপুর ২টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে।
- আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে জড়িত সকল সন্ত্রাসীর ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
- পূর্বে ঘটা এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ এবং পরবর্তীতে ঘটা যেকোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্ল্যাটফর্ম (কোনো সাইট বা ফরম) থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বুয়েটের বিআইআইএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শন করতে হবে এবং পরবর্তী এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম পূর্ণরূপে শুরু করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো হলের প্রত্যেক ফ্লোরের সবগুলা উইংয়ের দুপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
- রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। [২০]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের গোড়ায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে। খুলনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের সামনে মহাসড়কে ব্যারিকেড করে কালো ব্যাজ দিয়ে মুখ বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি মানববন্ধন গঠন করে এবং আবরার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি।[২১] আবরার ফাহাদের বীভৎস হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীরাও আধা ঘণ্টা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সিলেটের ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে একটি মানববন্ধন করেন। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে যা সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে প্যারেড করে।[২২] ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, বগুড়া, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, পটুয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী তে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।[২৩][২৪]
তারকাদের প্রতিবাদ[সম্পাদনা]
গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নাট্যকার মাসুম রেজা, নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, নির্মাতা রেদওয়ান রনি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, সংগীতশিল্পী কোনাল তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।[২৫]
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ[সম্পাদনা]
এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ। যুক্তরাজ্য এই হত্যার ঘটনায় বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছে এবং মানুষের বাক স্বাধীনতার পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। জার্মানি দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং গণতন্ত্রে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকারের কথা বলেছে। ফ্রান্স সমবেদনা প্রকাশ করে খুনীদের দ্রুত বিচারের কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র হতবাক ও মর্মাহত হয়েছে এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছে। [২৬][২৭][২৮][২৯]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম[সম্পাদনা]
এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা, গার্ডিয়ান, দ্য হিন্দু, গালফ নিউজ, দ্য ন্যাশনাল, এবিসি নিউজ এর মত স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। বেশীরভাগ সংবাদে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির সমালোচনার জন্য হত্যা করায় ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়।[৩০]
বিচার[সম্পাদনা]
বুয়েট প্রশাসন[সম্পাদনা]
আন্দোলনের মুখে বুয়েট প্রশাসনের পদক্ষেপগুলি হল[৩১]ঃ
- বুয়েটে বুয়েটে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
- বুয়েট কর্তৃপক্ষ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১৯ আসামীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
বিচার কার্যক্রম[সম্পাদনা]
| আসামীর নাম | বুয়েট পরিচয় | ছাত্রলীগ পরিচয় | বর্তমান অবস্থা | আদালতের রায় | |
|---|---|---|---|---|---|
| ১ | মেহেদী হাসান রাসেল | সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, '১৩ ব্যাচ | সাধারণ সম্পাদক | গ্রেপ্তার | |
| ২ | অনিক সরকার | মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, '১৫ ব্যাচ | তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক | গ্রেপ্তার | |
| ৩ | ইফতি মোশারফ সকাল | বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, '১৬ ব্যাচ | উপসমাজসেবা সম্পাদক | গ্রেপ্তার | |
| ৪ | মেহেদী হাসান রবিন | কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, '১৫ ব্যাচ | সাংগঠনিক সম্পাদক | গ্রেপ্তার | |
| ৫ | মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন | ক্রীড়া সম্পাদক | গ্রেপ্তার | ||
| ৬ | মুনতাসির আল জেমি | মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, '১৭ ব্যাচ | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | |
| ৭ | মো. তাবাখখারুল ইসলাম | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | ||
| ৮ | মো. মোজাহিদুর রহমান | ইইই বিভাগ, '১৬ ব্যাচ | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | |
| ৯ | মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন | যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক | গ্রেপ্তার | ||
| ১০ | মনিরুজ্জামান মনির | ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, '১৬ ব্যাচ | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | |
| ১১ | মো. আকাশ হোসেন | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | ||
| ১২ | হোসেন মোহাম্মদ তোহা | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | ||
| ১৩ | মাজেদুল ইসলাম | এমএমই বিভাগ, '১৭ ব্যাচ | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | |
| ১৪ | মো. জিসান | পলাতক | |||
| ১৫ | শামীম বিল্লাহ | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার | ||
| ১৬ | মো. শাদাত | পলাতক | |||
| ১৭ | এহতেমামুল রাব্বি তানিম | ছাত্রলীগের সদস্য | পলাতক | ||
| ১৮ | মো. মোর্শেদ | ছাত্রলীগের সদস্য | পলাতক | ||
| ১৯ | মো. মোয়াজ | ছাত্রলীগের সদস্য | পলাতক | ||
| ২০ | অমিত সাহা* | আইনবিষয়ক উপসম্পাদক | গ্রেপ্তার | ||
| ২১ | ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না* | গ্রেপ্তার | |||
| ২২ | মিজানুর রহমান* | গ্রেপ্তার | |||
| ২৩ | শামসুল আরেফিন রাফাত* | ছাত্রলীগের সদস্য | গ্রেপ্তার |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "9 held over Buet student Abrar murder"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Autopsy report: Abrar was beaten to death"। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Buet student beaten to death: Critical FB post costs him his life?"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "BUET student Abrar's mother repeatedly phoned him that night"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "এক আসামির ভয়ংকর বর্ণনা"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Buet student murdered after 'BCL men grilled' him"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে 'গণপিটুনির নাটক' সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ↑ "আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও খুনিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়নি প্রোভোস্ট"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "পুলিশ জেনেও তৎপর হয়নি"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরারকে হত্যা শেষে মাদক দিয়ে 'গণপিটুনির নাটক' সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "চড়-থাপ্পড় লাথি হকিস্টিক দিয়ে ২২ জন পেটায়"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "BUET student 'beaten dead' in dorm"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Was BUET student Abrar murdered for his Facebook status?"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Father charges 19 over murder of BUET student Abrar"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যার ১৯ আসামি যাঁরা..."। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Abrar Fahad murder: Father initiates case accusing 19"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগের দশ জন রিমান্ডে"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যা মামলায় আরও ৩ জন গ্রেপ্তার"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "DU students protest BUET student Fahad's murder"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যায় ১০ দফা, না মানা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ The business standards। "Buet student Abrar murder sparks nationwide protests"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Univ students countrywide protest at Abrar murder"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ও মনববন্ধন"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বুয়েটছাত্র আবরার হত্যায় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যার প্রতিবাদ: সরব তারকারাও"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জাতিসংঘের"। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "International communities condemn Abrar's murder: Statements issued by UN, UK, Germany"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Abrar murder: French embassy urges quick punishment of killers"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যা: ন্যায়বিচার প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "চুক্তির সমালোচনায় করায় আবরারকে হত্যা, বলছে বিদেশি মিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরার হত্যার ১৯ আসামি বহিষ্কার, বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ"। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
