Monday, 13 February 2023

ক্লিন ইমেজের, কে এই সাহাবুদ্দিন চুপপু



মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার পরিচিতি তুলে ধরেন।


মি. কাদের বলেছেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পেশায় একজন আইনজীবী এবং তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য।


দুই হাজার এগারো সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


তিনি ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।


তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। 


তাকে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে মি. কাদের বলেছেন, মি. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। 


ছাত্র জীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


মি. কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক আইনে তিনি তিন বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন।


পরবর্তীতে তিনি শেখ মুজিব হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


মি. সাহাবুদ্দিন ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেব দায়িত্ব পালন করেছেন। 


সর্বশেষ ২০২২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


ইসলামি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেয়া তার জীবন বৃত্তান্ত অনুযায়ী মি. সাহাবুদ্দিন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে জেএমসি বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব করেন।


মি. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। 


তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। 


একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। 


তিনি ১৯৮০-১৯৮২ সাল পর্যন্ত দৈনিক বাংলার বাণীর সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেন।


মি. সাহাবুদ্দিন ২০০৬ সালে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান এবং ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


চাকরির সময়কালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্য, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।


সংবাদ ব্রিফিংয়ে মি. কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দলটির পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান শেখ হাসিনা এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন। 


এর আগে সাতই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনীত করার একক ক্ষমতা শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছিল।


ব্যক্তিগত জীবনে মি. আহমেদ এক পুত্র সন্তানের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ই এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

No comments:

Post a Comment