Sunday, 7 July 2019

ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল

পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
ভারত
ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের লোগো.svg
টেস্ট মর্যাদা১৯৩২
প্রথম টেস্টবনাম  ইংল্যান্ড লর্ডস, লন্ডন, ২৫-২৮ জুন, ১৯৩২
অধিনায়কবিরাট কোহলি
কোচরবি শাস্ত্রী
আইসিসি টেস্টওডিআই এবং টি২০আই র‌্যাঙ্কিং১ম
২র্থ
৩য় [১]
টেস্ট ম্যাচ
– বর্তমান বছর
৫০১
সর্বশেষ টেস্টটেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত south africa ডারবান
জয়/পরাজয়
– বর্তমান বছর
১৩১/১৫৭
৪/০
৩ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত
ভারত ক্রিকেট দল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা বিসিসিআই দ্বারা পরিচালিত এই দল টেস্ট,ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল এবং টি২০ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি'র পূর্ণ সদস্য।এই দলের প্রথম টেস্ট ক‍্যাপ্টেন C.K.Naidu.

আন্তর্জাতিক মাঠ[সম্পাদনা]

বর্তমান দলের সদস্য[সম্পাদনা]

নামবয়সব্যাটিং ষ্টাইলবোলিং স্টাইলআভ্যন্তরিন দলটেস্টওডিআইটি২০আইএস/এস
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এবং মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান
বিরাট কোহলি৩০ডান হাতি ব্যাটিংদিল্লিYesYesYes১৮
টেস্ট সহ-অধিনায়ক এবং ওপেনিং-মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান
অজিঙ্কা রাহানে৩১ডান হাতি ব্যাটিংমুম্বাইYes২৭
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সহ-অধিনায়ক এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান
রোহিত শর্মা৩২ডান হাতি ব্যাটিংমুম্বাইYesYes৪৫
অতিরিক্ত সহ-অধিনায়ক এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান
শিখর ধাওয়ান৩৩বাঁ হাতি ব্যাটিংদিল্লি, হায়দ্রাবাদYesYesYes২৫
ওপেনিং ব্যাটসম্যান
মুরলী বিজয়৩৫ডান হাতি ব্যাটিংতামিলনাড়ুYes
লোকেশ রাহুল২৭ডান হাতি ব্যাটিংকর্ণাটক, পাঞ্জাবYesYesYes
মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান
আম্বতি রায়ডু৩৩ডান হাতি ব্যাটিংYes
সুরেশ রায়না৩২বাঁ হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম লেগ-ব্রেকউত্তর প্রদেশYes
চেতেশ্বর পুজারা৩১ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম লেগ-ব্রেকসৌরাষ্ট্র, ইয়র্কশায়ারYes
মনীশ পাণ্ডে২৯ডান হাতি ব্যাটিংকর্ণাটক, হায়দ্রাবাদYes
শ্রেয়াস আইয়ার২৪ডান হাতি ব্যাটিংYes
লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান
করুণ নায়ার২৭ডান হাতি ব্যাটিংকর্ণাটকYes
উইকেট-কিপার্স ব্যাটসম্যান
মহেন্দ্র সিং ধোনি৩৭ডান হাতি ব্যাটিংঝাড়খণ্ডYesYes
ঋদ্ধিমান সাহা৩৪ডান হাতি ব্যাটিংবাংলাYes
দিনেশ কার্তিক৩৪ডান হাতি ব্যাটিংYesYes২১
অল রাউন্ডার
রবিচন্দ্রন অশ্বিন৩২ডান হাতি ব্যাটিংডানহাতি অফ-স্পিনতামিলনাড়ুYes৯৯
রবীন্দ্র জাদেজা৩০বাঁ হাতি ব্যাটিংবাম-হাত অর্থোডক্স স্পিনসৌরাষ্ট্রYes
ভুবনেশ্বর কুমার২৯ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম মেডিয়ামYesYes১৫
হারদিক পাণ্ডা২৫ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম ফাস্ট মেডিয়ামবারোদাYesYesYes৩৩
ওয়াশিংটন সুন্দর১৯বাঁ হাতি ব্যাটিংডানহাতি অফ-স্পিনতামিলনাড়ুYesYes৫৫
পেস বোলার
উমেশ যাদব৩১ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম ফাস্ট মেডিয়ামবিদর্ভYesYesYes১৯
ইশান্ত শর্মা৩০ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম ফাস্ট মেডিয়ামদিল্লিYes
মোহাম্মদ শমী২৯ডান হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম ফাস্ট মেডিয়ামবাংলাYes১১
সিদ্ধার্থ কৌল২৯বাঁ হাতি ব্যাটিংরাইট-আর্ম ফাস্ট মেডিয়ামYesYes
জসপ্রীত বুমরাহ২৫ডান হাতি ব্যাটিংডানহাতি ফাস্ট মিডিয়ামYesYes৯৩
শার্দুল ঠাকুর২৭ডান হাতি ব্যাটিংডানহাতি ফাস্ট মিডিয়ামYes৫৪
স্পিন বোলার
যুজবেন্দ্র চাহাল২৮ডান হাতি ব্যাটিংডানহাতি লেগ ব্রেক গুগলিহরিয়ানাYesYes
কুলদীপ যাদব২৪বাঁ হাতি ব্যাটিংবাঁ-হাতি চায়নাম্যানউত্তর প্রদেশ, কলকাতাYesYesYes২৩
পৃত্থ সহ

মানচিত্রে[সম্পাদনা]

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সুগঠিত ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতীয় জাতীয় দলকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। ভারত এ ক্রিকেট দল বিভিন্ন সময়ে প্রথম শ্রেণীর ও লিস্ট এ ক্রিকেট খেলে থাকে যেখানে ভবিষ্যতের তারকা খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করা হয়।

ফলাফল[সম্পাদনা]

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ট্যুর
তারিখবিপক্ষেহোম/অ্যওয়েফলাফল
টেস্টওডিআইটি২০আই
ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৭ অস্ট্রেলিয়াহোম২-১ [৪]
জুন-জুলাই ২০১৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজঅ্যওয়ে৩-১ [৫]০-১ [১]
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৭ শ্রীলঙ্কাঅ্যওয়ে৩-০ [৩]৫-০ [৫]১-০ [১]
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৭ অস্ট্রেলিয়াহোম৪-১ [৫]১-১ [৩]
অক্টোবর-নভেম্বর ২০১৭ নিউজিল্যান্ডহোম২-১ [৩]২-১ [৩]
নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৭ শ্রীলঙ্কাহোম১-০ [৩]২-১ [৩]৩-০ [৩]
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দক্ষিণ আফ্রিকাঅ্যওয়ে১-২ [৩]৫-১ [৬]২-১ [৩]
জুন ২০১৮ আফগানিস্তানহোম[১]
জুন ২০১৮ আয়ারল্যান্ডঅ্যওয়ে[২]
জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইংল্যান্ডঅ্যওয়ে[৫][৩][৩]
অক্টোবর-নভেম্বর ২০১৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজহোম[৩][৫][১]
নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৮ অস্ট্রেলিয়াঅ্যওয়ে[৪][৩][৩]
বহু দল সিরিজ এবং প্রতিযোগিতা
তারিখসিরিজবিন‍্যাসঅবস্থানফলাফল
জুন ৩০১৭ইংল্যান্ডওয়েল্‌স্‌২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিওডিআইরানার-আপ৩-২ [৫]
মার্চ ২০১৮শ্রীলঙ্কা ২০১৮ নিদাহস ট্রফিটি২০আইবিজয়ী৪-১ [৫]
সেপ্টেম্বর ২০১৮ভারত ২০১৮ এশিয়া কাপওডিআইবিজয়ী

কোচিং এবং সাপোর্ট স্টাফ[সম্পাদনা]

টুর্নামেন্টের ইতিহাস[সম্পাদনা]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

বিশ্বকাপ রেকর্ড
স্বাগতিকবছররাউন্ডঅবস্থানখেলাহাটাইফহ
ইংল্যান্ড১৯৭৫রাউন্ড ১৬/৮
ইংল্যান্ড১৯৭৯রাউন্ড ১৭/৮
ইংল্যান্ড১৯৮৩চ্যাম্পিয়ন১/৮
ভারত/পাকিস্তান১৯৮৭সেমি-ফাইনাল৪/৮
অস্ট্রেলিয়া/নিউজিল্যান্ড১৯৯২রাউন্ড ১৭/৯
ভারত/পাকিস্তান/শ্রীলংকা১৯৯৬সেমি-ফাইনাল৪/১২
ইংল্যান্ড১৯৯৯রা২ (সুপার ৬)৬/১২
দক্ষিণ আফ্রিকা/জিম্বাবুয়ে/কেনিয়া২০০৩রানার-আপ২/১৪১১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ২০০৭রাউন্ড ১১০/১৬
ভারত/শ্রীলঙ্কা/বাংলাদেশ২০১১চ্যাম্পিয়ন১/১৪
অস্ট্রেলিয়া/নিউজিল্যান্ড২০১৫সেমি-ফাইনাল৩/১৪
ইংল্যান্ড২০১৯-
ভারত২০২৩-
মোট১২/১২২টি শিরোপা৭৫৪৬২৭

বিশ্ব টুয়েন্টি২০ রেকর্ড[সম্পাদনা]

বিশ্ব টুয়েন্টি২০ রেকর্ড
স্বাগতিকবছররাউন্ডঅবস্থানখেলাহাটাইফহ
দক্ষিণ আফ্রিকা২০০৭চ্যাম্পিয়ন১/১২
ইংল্যান্ড২০০৯সুপার ৮৭/১২
ওয়েস্ট ইন্ডিজ২০১০সুপার ৮৮/১২
শ্রীলঙ্কা২০১২সুপার ৮৫/১২
বাংলাদেশ২০১৪রানার-আপ২/১৬
ভারত২০১৬সেমি-ফাইনাল৩/১৬
মোট৬/৬১টি শিরোপা৩৩২০১১

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি[সম্পাদনা]

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

এশিয়া কাপ[সম্পাদনা]

এশিয়া কাপ

বিলুপ্ত টুর্নামেন্ট[সম্পাদনা]

কমনওয়েলথ গেমসহিরো কাপএশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপঅস্ট্রাল-এশিয়া কাপওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব ক্রিকেট
ক্রিকেট শুধুমাত্র ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে খেলা হয়েছিল।

সিরিজ জয়[সম্পাদনা]

First Test series wins[সম্পাদনা]

OpponentYear of first Home winYear of first Away win
 অস্ট্রেলিয়া1979[২]২০১৮-১৯ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে
 বাংলাদেশ20172000
 ইংল্যান্ড1961/621971
 নিউজিল্যান্ড1955/561968
 পাকিস্তান19522004
 দক্ষিণ আফ্রিকা1996
 শ্রীলঙ্কা1986/871993
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ1978/791971
 জিম্বাবুয়ে19932005

ওডিআই সিরিজ জয়[সম্পাদনা]

Opponentঘরের মাঠে প্রথম জয়বিপক্ষের মাঠে প্রথম জয়বিপক্ষের মাঠে সর্বমোট জয়
 অস্ট্রেলিয়া1986২০১৮-১৯ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে
 বাংলাদেশ২০০৪৪ বারের মধ্যে ৩ বার
 ইংল্যান্ড20061990
 নিউজিল্যান্ড19882009
 পাকিস্তান1983২০০৪ সালে সৌরভের নেতৃত্বে৩ বারের মধ্যে ২ বার
 দক্ষিণ আফ্রিকা1991২০১৮
 শ্রীলঙ্কা1982২০০৮ সালে ধোনির নেতৃত্বে৯ বারের মধ্যে ৪ বার
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ19942002
 জিম্বাবুয়ে19931992

টুয়েন্টি২০ সিরিজ জয়[সম্পাদনা]

বিপক্ষঘরের মাঠে প্রথম জয়বিপক্ষের মাঠে প্রথম জয়বিপক্ষের মাঠে সর্বমোট জয়
 অস্ট্রেলিয়া-২০১৬ সালে ধোনির নেতৃত্বে৩ বারের মধ্যে ১ বার
 ইংল্যান্ড20172018 সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে৩ বারের মধ্যে ১ বার

প্রকাশঃ ৮ জুলাই ২০১৯

Thursday, 20 June 2019

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
দেশ বাংলাদেশ
অবস্থানপায়রাকলাপাড়া উপজেলাপটুয়াখালী জেলাবাংলাদেশ
অবস্থাপ্রস্তাবিত
মালিকবাংলাদেশ সরকার
পরিচালকবাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ-এর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় প্রস্তাবিত একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ করবে চীন[১] ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ ভাবে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পায়রা বন্দর এর কাছে নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট এর মোট ২ টি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯ই মার্চ ২০১৫ তে পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাওপ্নের জন্য এনডব্লিউপিজিসিএল এবং সিএমসি এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[২]

পদ্মা সেতু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
পদ্মা বহুমুখী সেতু
Querschnitt Konstruktion Padma-Brücke.svg
নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রস্থচ্ছেদ
স্থানাঙ্ক২৩.৪৪৬০° উত্তর ৯০.২৬২৩° পূর্বস্থানাঙ্ক২৩.৪৪৬০° উত্তর ৯০.২৬২৩° পূর্ব | OSM মানচিত্র
বহন করেযানবাহনট্রেন
অতিক্রম করেপদ্মা নদী
স্থানলৌহজংমুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর
অফিসিয়াল নামপদ্মা বহুমুখী সেতু
রক্ষণাবেক্ষকবাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ
বৈশিষ্ট্য
নকশাএ.ই.সি.ও.এম
উপাদানকংক্রিট, স্টিল
মোট দৈর্ঘ্য৬,১৫০ মি (২০,১৮০ ফু)
প্রস্থ১৮.১০ মি (৫৯.৪ ফু)
ইতিহাস
নকশাকারAECOM
নির্মাণকারীচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ
নির্মাণ শুরু৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
নির্মাণ শেষ২০২১
চালু২০২১ [১]
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজংমুন্সিগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট ষ্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির (truss bridge) ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্পান বসবে , ৬,১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচে বড় সেতু।[৩] সরকারের পরিকল্পনামাফিক ২০১৮ সালের শেষের দিকে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় নি।[৪]
প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট / উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা / দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর। নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ভাড়ার ভিত্তিতে আগামী ছয় বছরে অধিযাচন করা হবে।
প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। যাইহোক, দুর্নীতি অভিযোগ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং কোন প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডিয়ান আদালত পরবর্তীতে মামলাটি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে।[৫]
মূল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়িয়েছে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা । [৬]
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের জন্য প্রাক যোগ্যতা দরপত্র আহবান করে। ২০১১ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল[৭] এবং ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজগুলো শেষ হবে (সকল কাজ ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে[৮])। প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করবে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহণ নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে ভবিষ্যতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।[৯]

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সংক্ষিপ্তসার[সম্পাদনা]

নকশা
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পুর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করে।[১০]

চুক্তিবদ্ধ সংস্থা[সম্পাদনা]

সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ নামক একটি কোম্পানী। কাজ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা৷[১১]

Wednesday, 21 March 2018

নীরবঘাতক মটর নিউরন ডিজিজ


 বিশ্বের অন্যতম দুর্বোধ্য এবং দুর্লভ ব্যাধি মটর নিউরন ডিজিজ বা Lou Gehrig’s disease নামেও পরিচিত। মূলত, MND বা Motor neuron disease (মটর নিউরন ডিজিজ) বা মটর স্নায়ুর রোগ হল একটি নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার বা  øায়ুবিক রোগ। ডাক্তারি ভাষায় মটর নিউরন হলো দেহের আজ্ঞাবাহী  স্নায়ু একক যা মাংসপেশীর ঐচ্ছিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। যেমনঃ হাঁটা-চলা, কথাবলা, খাদ্য গলঃধকরণ এবং দেহের সাধারণ নড়াচড়াসহ শরীরের অন্যান্য গতিবিধির ওপর প্রভাব বিস্তার করে বা যাকে ধ্বংস করে। এই রোগে মস্তিষ্কের এবং স্পাইনালকর্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয় এবং ধীরে ধীরে স্নায়ুতে তথ্য আদান প্রদান কমে যায়। এর সম্মুখীন ব্যক্তি প্রতিবন্ধিতা এমন কি মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করতে পারেন। প্রকৃতিগতভাবে, এটা সাধারণত প্রোগ্রেসিভ বা ক্রমাগতবৃদ্ধি পায়। প্রকৃতিগত ভাবে মটর নিউরন ডিজিজ্ সাধারণত প্রোগ্রেসিভ বা ক্রম বিকাশমান প্রকৃতির যাতে ক্রমশঃ রোগের তীব্রতা বেড়ে আক্রান্ত দেহ জড়-বিবশ হয়ে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
বিভিন্ন ধরনের মটর নিউরন রোগের মধ্যে রয়েছে, অ্যামায়োট্রফিকল্যাটেরাল স্কেলরসিস (ALS), প্রাইমারীল্যাটেরাল স্কেলরসিস (Pls), প্রোগ্রেসিভ মাস্কুলার অ্যাট্রফি (PMA), প্রোগ্রেসিভ বুলবার পলসি (PBP), Pseudo Bulbar ইত্যাদি। তন্মধ্যে অ্যামায়োট্রফিকল্যাটেরাল স্কেলরসিস বা amyotrophic Sclerosis (ALS) Upper motor neuron degeneration বা উপরের মটর নিউরনের পতন ও Lower motor neuron degeneration বা নিচের মটর নিউরনের পতনের কারণ। এছাড়া মটর নিউরন ডিজিজ বা মোটর  øায়ুর রোগ ঘরানার Primary Sclerosis বা প্রাথমিক স্কেলরসিস (Pls), Pseudo Bulbar Palsy রোগ উপরের মটর নিউরনের পতনের কারণ এবং প্রোগ্রেসিভ মাস্কুলার অ্যাট্রফি (Progressive Muscular Atrophy) বা প্রগতিশীল পেশীবহুল ক্ষয়িষ্ণুতা (PMA), progressive Bulbar palsy বা প্রগতিশীল বুলবার পালসি (PBP) রোগ মটর নিউরনের পতনের কারণ।

বিদেশী চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকা মেডিকেল নিউজ টুডের তথ্যমতে, যেকোনো সময় এ রোগ হতে পারে। তবে এই রোগের প্রসারণ এবং আঘাত হানার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে চল্লিশ বছর বয়সের পর। বিশেষভাবে পঞ্চাশ থেকে সত্তর বছর বয়সের মধ্যে। এছাড়া, সৈনিক পেশায় (যেমন- সেনা, নৌ, বিমান) কর্মরত ব্যক্তিদের এবং পেশাদার ফুটবলারদের মধ্যেও এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে, পারিবারিক ইতিহাস জনিত কারণে, ভাইরাস, পরিবেশ, আবাসস্থল ইত্যাদি কারণেও এ রোগ হতে পারে।

এ রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা আজ অবধি আবিষ্কৃত হয় নি এবং এখনো গবেষণা চলমান। রোগটির কিছু লক্ষণ ও তার প্রতিকার নিম্নরূপঃ
১) ব্যথা এবং অস্বস্তিঃ এটি সরাসরি MND’র কারণে নাও হতে পারে। এর পেছনে অন্য কোন পরোক্ষ কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারী পরামর্শে উপযুক্ত ব্যথা কমাবার ওষুধ খেতে হবে।
২) পেশী ব্যথাঃ এক্ষেত্রে বিছানা বা চেয়ারে বসা বা শোয়ার অবস্থান পরিবর্তন করে উপশমের চেষ্টা করা যেতে পারে। তাতেও কাজ না হলে ডাক্তারী পরামর্শে পেশী শিথলীকরণ ওষুধ সেবন করতে হবে।
৩) শক্ত জয়েন্টঃ এক্ষেত্রে মৃদু ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে। তাই ফিজিওথেরাপিষ্টের কাছে উপযুক্ত ব্যায়ামের অনুশীলন গ্রহণ করতে হবে।
৪) অসংযমঃ এ ধরণের সমস্যা সাধারণত MND’র সাথে যুক্ত করা হয় না। তথাপি এরকম সমস্যা সমাধানে অকুপেশনাল থেরাপিষ্ট এবং MND নার্সের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫) অন্ত্র সমস্যাঃ সরাসরি MND দ্বারা সাধারণত সৃষ্ট হয় না। তথাপি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬) কাশি ও বিষম অনুভূতিঃ সংশ্লিষ্ট, খাদ্য গ্রহণ, কথা বলা ও যোগাযোগ সমস্যাঃ এ সমস্যার সমাধান স্পীচ এন্ড ল্যাক্সগুয়েজ থেরাপিষ্ট (এসএলটি) এর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
৭) লালা ও শ্লৈষ্মিকঃ এ সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
৮) শ্বাসের সমস্যাঃ এক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

মটর নিউরন রোগের সম্মুখীন ব্যক্তি নানা পরীক্ষায় রোগ নির্ণয় ও পরবর্তী সময়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারেন। এ দুঃসময়ে পরিবার থেকে রাষ্ট্র আমৃত্যু তাঁর পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব সবার। আর তখনই সম্ভব বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর মত মটর নিউরন ডিজিজকে সাথী করে বিশ্বজয় করা।
লেখাঃ সৈয়দ আলী জাভেদ